ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের পুনর্বাসন নিশ্চিত Somoybulletin

[ad_1]

ঢাকা: দেশে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের দক্ষতা উন্নয়ন ও তাদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  

পাশাপাশি বক্তারা ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ওপরও জোর দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই) ও ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলা হয়।  

সভায় আয়োজকরা জানান, সমাজের সর্বস্তরে সুবিধাবঞ্চিত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠাই এবারের সচেতনতা মাসের মূল লক্ষ্য।

এবারের সচেতনতামূলক মাস উদযাপনের মূল আকর্ষণ ছিল ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও কিশোরদের মনোজ্ঞ পরিবেশনা। কেউ নেচে, কেউ গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে রাখেন।

এদিন দিনের শুরুতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু কিশোর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি প্রতিনিধি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ মিডিয়া ব্যক্তিরা অংশ নেন।

র‌্যালি শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা’।

আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক। তিনি তার বক্তব্যে দেশে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম। তিনি তার বক্তব্যে সুবিধাবঞ্চিত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সরদার এ নাঈম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও, হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজেশ চন্দ্র, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের পরিচালক মো. দিদারুল আলমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রথিতযশা ব্যক্তিরা।

আলোচনা সভার পাশাপাশি ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভাষা ও যোগাযোগের দক্ষতা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন করা হয়।
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান, প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।

তারা ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়ন ও তাদের সামাজিকভাবে পুর্বাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  

ডাউন সিনড্রোম একটি বংশানুগতিক সমস্যা এবং শরীরে ক্রোমোজোমের বিশেষ ত্রুটির জন্য হয়। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির প্রতিটি দেহকোষে ২১তম ক্রোমোজোমে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোমের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যাকে ‘ট্রাইসোমি ২১’ বলা হয়।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে জন্ম নেয় একটি ডাউন সিনড্রোম শিশু। সারা বিশ্বে ডাউন সিনড্রোম মানুষ রয়েছে প্রায় ৭০ লাখ। এমন শিশু-কিশোরদের জন্য কাজ করা ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ ২০১৬ সাল থেকে ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস উদযাপন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *