[ad_1]
পুনে: পুনেতে চলছে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ। আজকের ম্যাচটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বকাপ ২০১৯- এর পর দুই দেশের মধ্যে ৪টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে ৩টি ওডিআই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং বিশেষ করে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে খেলোয়াড়দের প্রচুর এনার্জির প্রয়োজন হয়। ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রতিদিনের রুটিন এবং ডায়েট সম্পর্কে জানতে চান সবাই।
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ-সহ সমস্ত ক্রিকেটাররা ফিট থাকার জন্য কী খাবার খান! কীভাবে নিজেদের যত্ন নেন তাঁরা! এই রহস্য জানার কৌতুহল অনেকের মধ্যেই থাকে।
পুষ্টি যে কারও ফিটনেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একদিনের ক্রিকেট দিনব্যাপী খেলা। এর মধ্যে পুষ্টির গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। পুরো ম্যাচ খেলতে ফিট না থাকলে চলবে না।
সঠিক খাবার গ্রহণ তাঁদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। টিম ইন্ডিয়ার ডায়েটিশিয়ানরা ম্যাচের আগে, ম্যাচ চলাকালীন এবং ম্যাচের পরে ক্রিকেটারদের বিশেষ কিছু খাবার খেতে বলেন।
ক্রিকেটাররা ম্যাচের আগে পর্যাপ্ত শক্তি সংগ্রহের জন্য খাবার খান। সেই সময় নিজেদের হাইড্রেটেড রাখতে এবং শক্তি সঞ্চয়ের জন্য তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করেন। ম্যাচের পরে হারানো শক্তি ফিরে পেতে এবং ম্যাচ চলাকালীন পেশীগুলির ক্ষয় মেরামত করার জন্য ডায়েট করেন তাঁরা।
সমস্ত ক্রিকেটারদের পরামর্শ দেওয়া হয়, তাঁরা যেন স্রেফ ম্যাচের দিন ভাল খাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করেন! বরং পুরো সপ্তাহ জুড়ে ঠিকঠাক খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয় তাঁদের। যাতে তাঁরা ম্যাচের দিন সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করেন।
সব ক্রিকেটারই নিয়মিত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিরতিতে কিছু না কিছু খেতে থাকেন। চর্বিহীন প্রোটিন তাঁদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। আমিষভোজীদের জন্য মুরগির মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং ডিম দেওয়া হয়। নিরামিষাশীদের জন্য সয়াবিন, পনির, তোফু পরিবেশন করা হয়।
খেলোয়াড়দের সবজি ভর্তি একটি স্যান্ডউইচ, একটি ফল, মুরগির মাংস বা মাছ এবং সবজি সহ মিষ্টি আলু, একটি স্টাফ অমলেট, টোস্টের টুকরো, কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং সিরিয়াল বা ওটমিলের একটি বাটি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- IND vs BAN:ম্যাচের আগে কোহলিকে নিয়ে বড় কথা বললেন শাকিব,প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরাটও
অলসতা প্রতিরোধ করার জন্য চর্বিযুক্ত খাবার এবং তেলের উপাদানযুক্ত খাবার দেওয়া হয় না। একজন ক্রিকেটার যতই তাড়াহুড়া করুক না কেন, তিনি কখনই সকালের খাবার বাদ দেন না। যখন সময় খুব কম, তাঁরা ফল দিয়ে স্মুদি খান।
ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়রা হাইড্রেটেড থাকার জন্য তরল খাবার গ্রহণ করেন বেশি। কেউ কেউ স্ন্যাক বার খান। একদিনের ম্যাচের পর হারানো শক্তি ফিরে পেতে খাবারকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
ম্যাচের পরে, খেলোয়াড়দের দেওয়া হয় মুরগির মাংস, সালাড, কম চর্বিযুক্ত পনির, টমেটো স্যান্ডউইচ, দই, দুধ বা স্মুদি, শুকনো ফল, বাদামের বার। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং তরল খাবার শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- IND vs BAN: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বাধা হবে বৃষ্টি? কী বলছে পুণের ওয়েদার আপডেট
ঘামের কারণে শরীরে যে জল কমে যায় তা পূরণ করতে খেলোয়াড়রা স্পোর্টস ড্রিংকস এবং ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত পানীয় গ্রহণ করেন। অ্যালকোহল শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পুনরুদ্ধারকে বাধা দেয় এবং নরম টিস্যু আঘাতের পুনরুদ্ধারকে প্রভাবিত করে। ম্যাচের আগে এবং টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন অ্যালকোহল নিষিদ্ধ।
পনিরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট এবং অন্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়া এটি চিনি নিয়ন্ত্রণে এবং মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে। কাঁচা পনিরে রয়েছে পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক।
পনির ক্রিকেটারদের মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। এছাড়া কাঁচা পনির হাড় মজবুত করে। পনির হজম হতে সময় নেয় এবং ক্রিকেটারদের ক্রমাগত এনার্জি দেয়। তাই ম্যাচের রাতে ক্রিকেটারদের ডিনারে অবশ্যই পনির দেওয়া হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: ICC World Cup 2023, Virat Kohli
Source link