কুমিল্লা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও দর্শনীয় স্থান

কুমিল্লা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও দর্শনীয় স্থান
ছবিঃ শালবন বৌদ্ধ বিহার

একনজরে কুমিল্লা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও দর্শনীয় স্থান…

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈচিত্রের লীলাভূমি মনোময় কুমিল্লা । এ জনপদের আছে দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সমাজ সংস্কার-শিল্প-সাহিত্য-সাংবাদিকতা-শিক্ষা-রাজনীতি-চিকিৎসাসহ নানা অঙ্গনে কালপরিক্রমায় যুগে যুগে মানুষের অংশগ্রহণ যেমন অনিবার্য ছিলো একইভাবে অংশগ্রহণকারী বিপুল জনগোষ্ঠী থেকে কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক’জন ব্যক্তিত্ব

কৃতি ব্যক্তিত্ব-

১. মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য বাহাদুর, ত্রিপুরার মহারাজা।

২. শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত , ভাষাসৈনিক ও সাবেক গণপরিষদ

সদস্য।

৩. রায় বাহাদুর অানন্দ চন্দ্র রায় , প্রতিষ্ঠাতা, কুমিল্লা

ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।

৪. শচীন দেব বর্মণ , বিখ্যাত গীতিকার ও সুরকার

৫. ক্যাপ্টেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত , প্রতিষ্ঠাতা, শ্রীকাইল কলেজ

৬. আখতার হামিদ খান, প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন

একাডেমি।

৭. মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, দানবীর, প্রতিষ্ঠাতা, মহেশ

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

৮. শ্রী কানু দত্ত, সাদা মনের মানুষ ও প্রতিষ্ঠাতা, হিন্দু সৎকার

সংঘ।

৯. অধ্যাপক ডাঃ প্রাণগোপাল দত্ত , সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু

শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

১০. শিব নারায়ণ দাস, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম

রূপকার।

১১. মেজর আব্দুল গণি , বীর প্রতীক , প্রতিষ্ঠাতা ইস্ট বেঙ্গল

রেজিমেন্ট।

১২. এনামুল হক মনি, আইসিসি আম্পায়ার।

১৩. সুফিয়া কামাল , কবি ও নারী নেত্রী।

১৪. নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী , লেখিকা, সমাজ কর্মী ও

জমিদার ।

১৫. মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম , বাংলাদেশের সাবেক প্রধান

বিচারপতি।

১৬. মোঃ আবু তাহের, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান।

১৭. ভাষা সৈনিক,মুক্তিযোদ্ধা কবি শহীদুল্লাহ সাহিত্যরত্ন-

বাংলার স্বপ্ন দ্রষ্টা কবি

১৮. কবি আহমেদ উল্লাহ্, কথাসাহিত্যিক ও গীতিকার।

শালবন বৌদ্ধ বিহার:

কুমিল্লার শালবন বিহার। আজ থেকে ১২শ বছর আগে বৌদ্ধদের বিদ্যা ও ধর্মচর্চার জন্য নির্মিত হয়েছিল এসব বিহার। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৯ টি বিহারের সন্ধান পাওয়া গেছে । শালবন বিহার তাদের মধ্য অন্যতম সমৃদ্ধ ও প্রাচীনতম বৌদ্ধবিহার ।

ওয়ার সিমেট্রি:

ময়নামতি রণ সমাধিক্ষেত্র মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) নিহত ভারতীয় (তৎকালীন) ও ব্রিটিশ সৈন্যদের কবরস্থান। এটি ১৯৪৩-১৯৪৪ সালে তৈরি হয়েছে। কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের খুব কাছেই এই যুদ্ধ সমাধির অবস্থান। এই সমাধিক্ষেত্রটি Commonwealth War Graves Commission (CWGC) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ও তারাই এই সমাধিক্ষেত্র পরিচালনা করেন।

বার্ড বা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী:

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) ১৯৫৯ সালের ২৭ মে পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। সূচনালগ্নেই একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. আখতার হামিদ খানের নেতৃত্বে নিবেদিত প্রাণ কিছু গবেষক গ্রামীণ জনগণকে সাথে নিয়ে নিরন্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এ দেশে পল্লী উন্নয়নের উপযোগী কিছু মডেল কর্মসূচী উদ্ভাবন করেন। 

ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক:

শিক্ষা সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যের কুমিল্লার সবচেয়ে সুন্দর ও বড় এমিউজমেন্ট পার্ক ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক (Magic Paradise Park) । ২০টিরও অধিক বিভিন্ন ধরনের রাইড, ওয়াটার পার্ক,  ডাইনোসর পার্ক, পিকনিক স্পট ও রেস্টুরেন্ট সহ ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি এমিউজমেন্ট পার্ক। যা কুমিল্লা জেলার বিনোদনের প্রানকেন্দ্র কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত। 

ধর্ম সাগর:

ত্রিপুরা রাজ্যের অধিপতি মহারাজা ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে এই দীঘিটি খনন করেন।

“রাজমালা” গ্রন্থ অনুযায়ী ধর্মমাণিক্য সুদীর্ঘ ৩২ বৎসর রাজত্ব করেন (১৪৩১-৬২ খ্রীস্টাব্দ)। কুমিল্লা শহর ও তার আশেপাশের অঞ্চল তাঁর রাজত্বের অধীন ছিল।

এখানে বনভোজনের জন্য রয়েছে স্পট। যেমন, দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিকট প্রতিনিয়ত স্বর্ণালী আকর্ষণ তেমনি প্রমোদ বিহার আর নিভৃত অবকাশ যাপনের নিকেতন। এছাড়াও রয়েছে এখানে শিশুদের জন্য নগর উদ্যান (পার্ক)। প্রতিবছর ১৪ ফেব্র“য়ারি বিশ্বভালবাসা দিবস, বাংলা নববর্ষ, ঈদের দিনে মানুষের ঢল নামে সাগরের দু’পাড়ে। ঐদিন গুলোতে মানুষের উপস্থিতি মিলন মেলায় পরিণত হয় কুমিল্লা ধর্মসাগর এর দু’পাড়। তাছাড়াও শীত এলেই অতিথি পাখিরা কুমিল্লা ধর্মসাগরে বেড়াতে আসেন।

পড়ুন সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *