ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

এক নজরে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সমূহ তুলে ধরা হয়েছে এখানে।আজকের এই ময়মনসিংহ বিভাগ এর পেছনে অতীতে যাদের খুব বেশি অবদান ছিলো এবং ময়মনসিংহ বিভাগ এর ১০ টি ঐতিহাসিক স্থান সমন্ধে তুলে ধরা হয়েছে। যে সব বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও য়মনসিংহের ঐতিহাসিক স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব গুলোর জন্য পুরো বাংলাদের মানুষের কাছে ময়মনসিংহ বিভাগ বিখ্যাত সে সব বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও য়মনসিংহের ঐতিহাসিক স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সমন্ধে ধারণা দেওয়া হয়েছে এখানে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈচিত্রের লীলাভূমি মনোময় ময়মনসিংহ। এ জনপদের আছে দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সমাজ সংস্কার-শিল্প-সাহিত্য-সাংবাদিকতা-শিক্ষা-রাজনীতি-চিকিৎসাসহ নানা অঙ্গনে কালপরিক্রমায় যুগে যুগে মানুষের অংশগ্রহণ যেমন অনিবার্য ছিলো একইভাবে অংশগ্রহণকারী বিপুল জনগোষ্ঠী থেকে কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক’জন ব্যক্তিত্বের পরিচয় ও ময়মনসিংহ জেলার ১০টি বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান নিচে তুলে ধরা হলো-

ময়মনসিংহ বিভাগের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনঃ জন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৪, মৃত্যু ২৮ মে ১৯৭৬। ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলার মন্বন্তরের আঁকা তার স্কেচসমূহ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করে। বাংলাদেশে তিনি আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ।

জয়নুল আবেদিন  বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী। পূর্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টার জন্য তিনি শিল্পাচার্য অভিধা লাভ করেন।

তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেয়া, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী ইত্যাদি। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন তার বিখ্যাত ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি নবান্ন।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ জন্ম ১৯২৫, মৃত্যু ৩ নভেম্বর ১৯৭৫।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রধানতম পুরুষ, যার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের অস্হায়ী বাংলাদেশ সরকার নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে। এই ঘটনাটি বাঙালি জাতিসত্তাকে বিশ্ববাসীর সামনে গর্বিত পুনরুত্থানের সুযোগ করে দেয়।

আনন্দ মোহন বসুঃ জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৪৭, মৃত্যু ২০ আগস্ট ১৯০৬

তিনি ময়মনসিংহ শহরে ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন নামে বিদ্যালয় স্থাপন করেন (১৮৮৩), বর্তমানে এটি আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ নামে পরিচিত।
শিবনাথ শাস্ত্রীর সহযোগিতায় কলকাতায় সিটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন (১৮৭৯)। এটি এখন আনন্দমোহন কলেজ (কলকাতা) নামে পরিচিত।
কলকাতায় বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন (১৮৭৬)।

আব্দুল ওয়াহেদ বোকাইনগরীঃ জন্ম উনবিংশ শতকের শেষার্ধ

গৌরীপুরে নারীশিক্ষা ও উচ্চতর শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি গৌরীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গৌরীপুর কলেজের প্রথম গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি।

আব্দুল জব্বারঃ জন্ম ১৯১৯, মৃত্যু ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২

তার পিতার নাম হাসান আলী এবং মাতার নাম সাফাতুন নেছা। তার অন্য ভাইদের নাম হচ্ছে – আবদুল কাদের ও এ,এইচ,এম আসাদ (নয়ন)। তিনি স্থানীয় ধোপাঘাট কৃষ্টবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিছুকাল অধ্যয়নের পরে দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া ত্যাগ করে পিতাকে কৃষিকাজে সাহায্য করেন। পনের বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন।

সন্মাননাঃ

মহান ভাষা আন্দোলনে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় আবদুল জব্বারকে বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করেন।

শেখ আব্দুল জব্বারঃ জন্ম ১৮৮১, মৃত্যু ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮।

শেখ আব্দুল জব্বার ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং এই বিষয়ে বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • হযরতের জীবনী ও দেবী রাবেয়া – জীবনী
  • মক্কা শরীফের ইতিহাস (১৯০৬) – ইতিহাস
  • মদীনা শরীফের ইতিহাস (১৯০৭) – ইতিহাস
  • ইসলামী সঙ্গীত (১৯০৮) – গানের স্বরলিপি
  • আদর্শ রমণী- জীবনী
  • জেরুজালেম বা বাইতুল মাকাদ্দাসের ইতিহাস (১৯১০) -)
  • এসলাম চিত্র সমাজ চিত্র
  • নবগাথা (১৯১২) – কাব্য
  • নূরজাহান (১৯১৩) – জীবনী

শিশুদের জন্য তিনি লিখেছিলেন শিশু সোপাণ, সাহিত্য সোপাণ, আদর্শ সাহিত্য।

‘ইসলাম আভা’ নামক একটি মাসিক পত্রিকাও তিনি প্রকাশ করতেন। আবুল কালাম শামসুদ্দিন বিরচিত “অতীত দিনের স্মৃতি” গ্রন্থে তাঁর ব্যাপারে ছোট কিন্তু অর্থবহ আলোচনা করা হয়েছে।

আব্দুল হাই মাশরেকীঃ জন্ম ১ এপ্রিল ১৯১৯, মৃত্যু ১৯৯২।

আবদুল হাই মাশরেকী (১ এপ্রিল ১৯০৯ – ৪ ডিসেম্বর ১৯৮৮) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত লোক সাহিত্যিক এবং কবি। তিরিশ ও চল্লিশ দশকে তিনি সাহিত্য জগতে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন।মূলত গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষদের জীবনগাঁথাই তার লেখনিতে স্থান পেয়েছিল। তার লেখা অসংখ্য পালাগান, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা ও গণসংগীতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘রাখাল বন্ধু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘আল্লা মেঘ দে ছায়া দে’, ‘ফান্দে পরিয়া বগা কান্দে রে’, ‘আমার কাখের কলশি’, ‘হে আমার দেশ’, ‘কিছু রেখে যেতে চাই’সহ আরও অনেক।

তার লেখা ছিল সামাজিক বৈষম্য, অর্থনিীতি, ধর্মীয় ও বর্ণবাদের বিরোদ্ধে। বাংলা সাহিত্যের গবেষক মিহির আচার্য, ১৯১৭ সাল থেকে ১৯৩৬ সাল সময়কালের মধ্যে তিনজন প্রধান লোক কবির কথা উল্লেখ করেন যার মধ্যে আবদুল হাই মাশরেকী অন্যতম। অপর দুজন হলেন জসীম উদ্ দীন এবং বন্দে আলী মিয়া।

এছাড়াও আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছে যারা তাদের বিশেষ কর্মের কারণে আজও ময়মনসিংহ বাসী তথা পুরো দেশের মানুষের কাছে বিখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।তাদের অবদান আজও মনে রেখেছে মানুষ।তাদের স্মৃতি আজও জীবিত মানুষের মাঝে এবং জীবিত থাকবে আমৃত্যু পর্যন্ত।নিচে এমন আরো বিশেষ কিছু ব্যক্তিত্বের নাম ও সময়কাল উল্লেখ করা হলোঃ

খান সাহেব আব্দুল্লাহঃ জন্ম ১৮৯৮, মৃত্যু ১৯৮৩

আবুল কালাম শামসুদ্দিনঃ জন্ম ৩ নভেম্বর ১৮৯৭, মৃত্যু ৪ মার্চ ১৯৭৮

আবুল মনসুর আহমদঃ জন্ম ৩ নভেম্বর ১৮৯৮, মৃত্যু ১৮ মার্চ ১৯৭৯

মোঃ আলতাব আলীঃ জন্ম ১৯০৭, মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০

কলম আলী উকিলঃ জন্ম ১৯০২, মৃত্যু ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৩।

কেদার নাথ মজুমদারঃ জন্ম ২৬ জৈষ্ঠ ১২৭৭, মৃত্যু ৬ জৈষ্ঠ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ

গোলাম সামদানী কোরায়শীঃ জন্ম ৬ এপ্রিল ১৯২৯, মৃত্যু ১১ অক্টোবর ১৯৯১

রাজা জগৎ কিশোর আচার্য চৌধুরীঃ জন্ম ১২৬৯, মৃত্যু ২২ চৈত্র ১৩৪৫

ডক্টর জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাঃ জন্ম ১০ জুলাই ১৯২০, মৃত্যু ২৭মার্চ ১৯৭১

নলিনীরঞ্জন সরকারঃ জন্ম ১৮৮২, মৃত্যু ২৫ জানুয়ারি ১৯৫৩

মনোরঞ্জন ধরঃ জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯০৪, মৃত্যু ১৯৮৬

মুজিবুর রহমান খান ফুলপুরীঃ জন্ম ১৮৮৯, মৃত্যু ৫ জানুয়ারি ১৯৬৯

মোস্তফা এম মতিনঃ জন্ম ১ আগস্ট ১৯৩৪, মৃত্যু ২০০৪

রফিক উদ্দিন ভূঞাঃ জন্ম ২৫ জানুয়ারি ১৯২৬, মৃত্যু ১৯৯৪

ময়মনসিংহ জেলার ১০ টি ঐতিহাসিক স্থান

১। আলেকজান্ডার ক্যাসেল

১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত ময়মনসিংহ জেলার প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে মহারাজা সুকান্ত সুর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদটি নির্মিত হয়। এতে সে সময় ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। ভবন নির্মাণে লৌহের ব্যবহারের কারণে এটি জনসাধারণ্যে “লোহার কুঠি” নামেও পরিচিত ছিল। বর্তমানে এটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের গ্রন্থাগার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তৎকালীন ভারত সম্রাট সপ্তম অ্যাডওয়ার্ডের পত্নী আলেকজান্দ্রার নামানুসারে ভবনটির নাম করা হয়েছিল ‘আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল’। পরবর্তীতে লোকমুখে এটি আলেকজান্ডার ক্যাসেল বা লোহার কুঠির বলে পরিচিতি পায়।

২। শশী লজ

এই শশীলজেই ধারণ করা হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও নওয়াজীশ আলী খান পরিচালিত বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক অয়োময়-এর পর্বগুলো, যা বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। নাটকে এটি ছিল জমিদারের বাড়ি। মূলত এই নাটকের পরিচিতির পরেই স্থানীয়দের কাছে বাড়িটি “জমিদারবাড়ি” হিসেবে পরিচিতি পায়। এছাড়াও রাখাল বন্ধু  নামে আরেকটি ধারাবাহিক নাটকের শ্যুটিংও এই ভবনটিতে হয়েছিল।

৩। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৬১ সালে ভেটেরিনারিকৃষি অনুষদ নামে দু’টি অনুষদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়, তখন এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঘোষণা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যেই পশুপালন অনুষদ নামে তৃতীয় অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন মঞ্চে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াদের মতো কৃষিবিদদেরও চাকরিক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষনা দেন।

৪। বিপিন পার্ক

প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত এই পার্কটি ময়মনসিংহের সর্বপ্রাচীন পার্ক।১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে এই পার্কে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে এক ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের একাধিক সভা এখানে অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলন ছাড়াও পরে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা-সমাবেশ বিপিন পার্কে অনুষ্ঠিত হত। দেশের স্বাধীনতার পর পার্কটিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ কমে আসতে থাকে।

২০১৩ সালে কংগ্রেস জুবিলি রোডে ‘থিমপার্ক’ হিসেবে পার্কটি সংস্কার করে পুনর্নিমাণ করা হয়।

৫। ময়মনসিংহ জাদুঘর

জাদুঘরটি ১৯৬৯ সালে ময়মনসিংহের তৎকালীন ডেপুটি-কমিশনার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমদিকে ময়মনসিংহ পৌরসভা এটির তদারকি করলেও ১৯৮৯ সালে জাদুঘরটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীন নিয়ে আসা হয়। ১৯৯৫ সালের গ্যাজেটে জাদুঘরটি সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

৬। তেপান্তর ফ্লিম সিটি

৭। চীনা মাটির টিলা

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আড়াপাড়া ও মাইজপাড়া মৌজায় বিজয়পুরের সাদা মাটি অবস্থিত। ছোট বড় টিলা-পাহাড় ও সমতল ভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এই খনিজ অঞ্চল। বিভিন্ন রংয়ের মাটি, পানি ও প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য মনকে বিমোহিত করে। সাদা, গোলাপী, হলুদ, বেগুনি, খয়েরী, নিলাভ বিভিন্ন রংয়ের মাটির পাহাড় চোখকে জুড়িয়ে দেয়। সাদামাটি এলাকা জুড়ে আদিবাসীদের বসতি।

৮। গারো পাহাড়

গারো পাহাড় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো-খাসিয়া পর্বতমালার একটি অংশ। এর কিছু অংশ ভারতের আসাম রাজ্য ও বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী উপজেলায় অবস্থিত এটা বাংলাদেশের সব থেকে বড় পাহাড়। এছাড়া ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জ এবং জামালপুর জেলায় এর কিছু অংশ আছে। গারো পাহাড় এর বিস্তৃতি প্রায় ৮০০০ বর্গ কিলোমিটার। [২] গারো পাহাড়েই মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং অবস্থিত। তবে গারো পাহাড়ের প্রধান শহর তুরা। এই শহরটি পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।

এ সকল বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও দর্শনীয় স্থান এর জন্য ময়মনসিংহ বিভাগ বিখ্যাত। শুধু ময়মনসিংহ বিভাগ নয় দেশের প্রতিটা বিভাগই এমন কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক স্থান এর জন্য দেশের মানুষের কাছে পরিচিত।

আরো পড়ুনঃ নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

আমাদের ফেসবুক পেইজ : সময় বুলেটিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *