ক্ষমা করা মহৎ গুণ,ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তুলি,

ক্ষমা করা মহৎ গুণ

ক্ষমা করা মহৎ গুণ ক্ষমা করার অভ্যাস নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলি। মানুষকে বলা হয় সামাজিক জীব। সমাজে চলতে গিয়ে নানান প্রকৃতির মানুষের সঙ্গে মিশতে হয় আমাদের । গরম-নরম সব প্রকৃতির মানুষের বসবাস আমাদের চার পাশে। কখনাে কারাে কারাে আচার-আচরণে আমরা কষ্ট পাই ।

ফলে কেউ প্রতিশােধ নিতে সহজেই তর্কে জড়িয়ে পড়ে। আবার কেউ এসব এড়িয়ে ক্ষমার পথে হাঁটে। কারণ ক্ষমা করা মহৎ গুণ। মহৎ মানুষই ক্ষমা করতে পারে। খুব কম মানুষ আছে—যারা অপরের ভুলগুলাে ক্ষমা করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে প্রতিশােধের চেয়ে ক্ষমার স্বাদ অনেক অনেক বেশি।

ক্ষমা করা মহৎ গুণঃ-

প্রতিহিংসা শুধু নিজেকেই ধ্বংস করে না, বরং একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে অন্তরায়ও বটে । হিংসার অনলে না পুড়ে যারা জীবনকে উপভােগ করার চেষ্টা করে, তারাই বুদ্ধিমান। হিংসা, অহঙ্কার, ক্রোধ, জিদ, রাগ কিংবা উত্তেজনা মানুষকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু কাউকে ক্ষমা করলে কিংবা কারও প্রতি উদারতা প্রদর্শন করলে, নিজে মনে যেমন প্রশান্তি আসে তেমনি আল্লাহতায়ালা জগৎ সংসারে ওই ক্ষমাশীল ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।

ক্ষমাশীলতার গুণে গুণান্বিত হয়ে একজন সাধারণ মানুষ অসাধারণ মানুষে পরিণত হয়ে যায়। ক্ষমা করা কিংবা উদারতা প্রদর্শন করা একটি স্বর্গীয় গুণ। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমাদের নিজেদের পাপ ও ভুলত্রুটির ক্ষমার জন্য আমরা যেমন আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রত্যাশা করি, তেমনি যারা আমাদের প্রতি অন্যায় করে থাকে, তাদের ক্ষমা করার অভ্যাস নিজেদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে অবশ্যই। এটাই মানবতার শিক্ষা।

মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন “‘যারা না দেখে তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার’ (মুলক ৬৭/১২)।”

ক্ষমা নিয়ে হাদিসঃ-

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) বলেছেন-”আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দিনে সত্তর বারেরও বেশী আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই এবং তাঁর নিকট তওবা করি’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৩২৩)।”

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) বলেছেনঃ- ”তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর। কেননা আমি দৈনিক একশতবার তাঁর নিকট তওবা করি’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৫) “

ক্ষমা চাওয়ার দোয়াঃ-

১. আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তার নিকটই তওবা করছি। (বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/১০১, নং ৬৩০৭ মুসলিম ৮/২০৭৫, নং ২৭০২)

২.আল্লাহ হুম্ম্ আংতা রব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খলাকতানি ওয়া আনা গইদুক

অর্থঃ- হে আল্লাহ আপনি আমার রব। আপনি ছাড়া আ কোন হক্ব ইলাহ নেই। আমনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। ( বুখারী, ৭/১৫০, নং ৬৩০৬)

আমাদের আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল। পরম দয়ালু। আমরা আল্লাহর বান্দা তাই আমাদের ও উচিৎ ক্ষমা করে দেওয়া কারন ক্ষমা করা মহৎ গুণ।

আরও পড়ুনঃ অন্যান্য খবর

নতুন নতুন খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকুন: সময় বুলেটিন

Check Also

SEO কি? কেন SEO করা হয়? কিভাবে SEO করতে হয়?

SEO কি ? SEO(সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) কিভাবে কাজ করে ?

SEO কি SEO কি? SEO কি? এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। সহজ কথায় আমরা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *